ভারতে মুসলিমদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.)’র বিরুদ্ধে কুৎসা রটনাকারী কুখ্যাত হিন্দু নেতাকে প্রকাশ্যে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের রাজধানী লক্ষ্নৌতে। নিহত ওই চরমপপন্থি হিন্দু নেতার নাম কমলেশ তিওয়ারি। তিনি হিন্দু সমাজ পার্টির সভাপতি ও হিন্দু মহাসভার সাবেক নেতা।
তার নিহত হওয়ার সংবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। কয়েক জায়গায় ভাঙচুর চালিয়েছে কমলেশ তিওয়ারির সমর্থকরা। লক্ষ্নৌয়ের আমিনাবাদে জোর করে দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শুক্রবার রাত অবধি চলছে বিক্ষোভ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে লক্ষ্নৌয়ের খুরশিদ বাগ অফিসে বসেছিলেন কমলেশ তিওয়ারি। সে সময় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী তার অফিস আসে। প্রথমে তার সঙ্গে ভালভাবে কথা বলে অফিসে বসে চা খায়।
পরে আচমকা ওই নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গলা কেটে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়।
কমলেশের চিৎকারে ছুটে আসে আশপাশের লোকেরা। তারা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃত্যু হয় কমলেশের। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি দেশী পিস্তল ও কয়েকটি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হিন্দু সমাজ পার্টি তৈরি করার আগে হিন্দু মহাসভার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিহত ওই নেতা। ২০১৫ সালে মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রিয় নেতা মহানবী হজরত মুহম্মদ (স.)’র নামে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
তৎকালীন অখিলেশ যাদবের সরকার তাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় অভিযুক্ত করেছিলো। এরপর থেকে জেলেই ছিলেন তিনি। সম্প্রতি জামিন পেয়ে জেলের বাইরে আসেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইনের ধারাগুলিও খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, চলতি মাসে এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশে হিন্দুত্ববাদী দলের চার নেতা খুন হলেন । গত ৮ অক্টোবর দেওবন্দে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল বিজেপি নেতা চৌধুরী যশপাল সিংকে। ১০ অক্টোবর বস্তিতে খুন হয়েছিলেন বিজেপি নেতা কবীর তিওয়ারি। ১৩ অক্টোবর খুন হন দেওবন্দের বিজেপি কাউন্সিলর ধারা সিং।