Home > জাতীয় > মহিলা হাজতখানায় পাপিয়ার সঙ্গে গোপন বৈঠকে দুই যুবক

মহিলা হাজতখানায় পাপিয়ার সঙ্গে গোপন বৈঠকে দুই যুবক

অভিজাত এলাকায় জমজমাট নারী ব্যবসাসহ ভয়ঙ্কর সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত শামীমা নূর পাপিয়া। আলোচিত এ নারী নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক। তার স্বামী মফিজুর রহমান চৌধুরী সুমন।

হাজতখানায় কফি পান করতে করতে দুই যুবকের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া। ওই গোপন বৈঠকের বিষয়টি জানা গেছে।

পুলিশের পাহারায় এই রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিম্ন আদালতের হাজতখানায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই যুবক কারা, কী উদ্দেশে তারা পাপিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেছেন তা জানা যায়নি। তবে পুলিশ বলেছে, ওই দুই যুবক পাপিয়ার ‘স্পেশাল গেস্ট।’

এদিকে বিষয়টিকে তুচ্ছ বলে অনেকটা উড়িয়ে দেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। বিষয়টি উপস্থিত সাংবাদিকদের নজরে আসে। পরে পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

এদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইনের আদালতে পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল। সকালে কারাগার থেকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় তাদের রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পর তাদের এজলাসে তোলা হয়। এ মামলায় সাক্ষ্য দিতে দুইজন সাক্ষীও আদালতে হাজিরা দেন। তবে বিচারক অসুস্থ হওয়ায় এদিন সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। ভারপ্রাপ্ত বিচারক এএসএম রুহুল ইমরান আগামী ১৬ মার্চ সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। এরপর আসামিদের আবার হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় পাপিয়ার গতিবিধিতে নজরদারি রাখেন করেসপন্ডেন্ট। দুপুরে হাজতখানার সামনে সরেজমিনে দেখা যায়, পাপিয়া মহিলা হাজতখানার ড্র্রেসিং রুমে একটি বেঞ্চে বসে আছেন। তার সামনে দুই যুবক বসে আছেন। প্রফুল্ল মনে পাপিয়া কফি পান করতে করতে ওই দুই যুবকের সঙ্গে গল্পে মেতেছেন। এ সময় গেইট লক করে কয়েকজন মহিলা পুলিশ সদস্যকেও পাহারা দিতে দেখা যায়।

আস্তে আস্তে আদালতপাড়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হন। বিষয়টি টের পেয়ে হাজতখানার ইনচার্জ নৃপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস সেখানে প্রবেশ করেন। পাপিয়াসহ তিনজনকে সতর্ক করেন তিনি।