Home > বিশেষ সংবাদ > ৫ কেজি চালের দামে মিলছে ১ কেজি পিঁয়াজ!

৫ কেজি চালের দামে মিলছে ১ কেজি পিঁয়াজ!

কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৫ কেজি চালের দামে মিলছে ১ কেজি পিঁয়াজ। ফলে ক্রেতারা বিপাকে পড়ে অতি উচ্চ মূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন।

বাজারে পেঁয়াজের মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ার কারণে ভোক্তারা বাজার মনিটরিং করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার খবরে ব্যবসায়ীরা ১৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেন।

প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি এবং বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ভয়ে ভীত হয়ে কয়েকদিন আগে ৭০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

কিন্তু নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট বাজার, সিঙ্গারডাবরীহাট, নাজিমখান বাজার, নাককাটিরহাট, মীলেরপাড়, ফরকেরহাট, বৈদ্যেরবাজার, সরিষাবাড়ীহাট, বুড়িরহাট, ডাংরারহাটসহ ২০টি বাজারে আবারও পেঁয়াজ লাফিয়ে লাফিয়ে ১০০ টাকায় উঠেছে। পেঁয়াজের বাজারে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের।

অনেক ক্রেতাই বাধ্য হয়ে আগের তুলনায় পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। বিক্রি কমে গেছে অনেকটা।

বুধবার দুপুরে রাজারহাট কাঁচাবাজারে মিজানুর রহমান নামের এক চাকরিজীবী পেঁয়াজ কিনতে এসে বলেন, চাঁপাইতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে কিনি। কিন্তু রাজারহাট বাজারে কিনতে এসে মাথা ঘুরে গেল। প্রতিকেজি পেঁয়াজ এখানে ১০০ টাকা দাম হাঁকাচ্ছে দোকানদাররা।

এ সময় অপর এক ক্রেতা রফিকুল ইসলাম (৭০) বলেন, আগে হাটে হাটে ১ কেজি পিয়াঁজ কিনতাম। দাম বেশি হওয়ায় এখন ১ পোয়া (২৫০ গ্রাম) করে কিনছি।

একাধিক খুচরা ব্যবসায়ী জানান, বুধবার সকালে প্রতিধরা (৫ কেজি) পেঁয়াজ আড়তদারের কাছ থেকে ৪৬০ টাকা দরে ক্রয় করা হয়েছে। সেটি ১০০ টাকা কেজি দরে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।

বেশ কয়েকজন আরতদার বলেন, এ উপজেলায় সরাসরি আমদানীকারক কোনো ব্যবসায়ী না থাকায় রংপুর মোকাম থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। সেখানেও বুধবার বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ ৩ হাজার ৩০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। পরিবহন খরচসহ কিছু লাভ নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ২০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় ৫ কেজি চাল বিক্রি করে ১ কেজি পেঁয়াজ কিনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কৃষকরা।

রাজারহাট কাঁচা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দুলাল মিয়া ও সেক্রেটারি ইয়াসিন আলী জানান, বাজার অনুযায়ী পেঁয়াজ বিক্রি করার জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করা হয়েছে। কেউ বেশি দামে বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা বাজার মনিটরিং কমিটির সভাপতি রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা. যোবায়ের হোসেন জানান, আমি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি জানলাম, মনিটরিংপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।