ভারতের এক নারী প্রেমের টানে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। এরই জেরে বাংলাদেশের এক যুবক ও শতাধিক গরু ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় খাসিয়ারা।
মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সীমান্তে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ১২ অক্টোবর টিপরাখলা সীমান্তের বাসিন্দা হারিছ উদ্দিনের ছেলে এক সন্তানের জনক ফিরোজ মিয়া (৩৮) ভারতের এসপিটিলা এলাকার হেওয়াইবস্তির বাসিন্দা চংকর খাসিয়ার স্ত্রী ৫ সন্তানের জননীকে প্রেমের সুবাদে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। এরপর তারা আত্মগোপনে চলে যায়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জৈন্তাপুর সীমান্তের ১২৮৮নং আন্তর্জাতিক পিলার এলাকায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে ২ দিনের মধ্যে ভারতীয় ওই নারীকে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে ফিরোজসহ তার প্রেমিকাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ঘটনার ২দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর ওই ভারতীয় নারীকে ফেরত না দেওয়ায় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ওই আন্তর্জাতিক পিলার এলাকা দিয়ে হেওয়াই বস্তির খাসিয়ারা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে। এরপর টিপরাখলা গ্রামের তজম্মুল আলীর ছেলে আব্দুন নুরসহ (৪৫) প্রায় শতাধিক গরু ধরে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ১৯ বিজিবির জৈন্তাপুর ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির, নিজপাট ইউপির সদস্য মনসুর আহমদ, আব্দুল হালিম। এরপর থেকে সীমান্তে দু-দেশের নাগরিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
১৯ বিজিবির জৈন্তাপুর ক্যাম্প কমান্ডার আব্দুল কাদির বলেন, গত শনিবারের ঘটনার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের মধ্যস্থতায় খাসিয়াদের সঙ্গে আলাপ করে দুইদিনের মধ্যে ভারতীয় নারীকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেই। তারা আমাদের কথা আমলে নেয়। কিন্তু ফিরোজের পরিবার আমাদের কথা না রাখায় ভারতীয় খাসিয়ারা উত্তেজিত হয়ে বাংলাদেশে সীমান্তে প্রবেশ করে আব্দুন নুরসহ বেশ কিছু গরু ধরে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। খাসিয়ারা যাতে আর বাংলাদেশিদের গরু ধরে নিতে না পারে সে জন্য সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।