নারী নির্যাতনের অভিযোগে ভাবির দায়ের করা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম. মাহবুব হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৬নভেস্বর) ভোররাতে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মাহবুবকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ৪ আগস্ট মাহবুরের বড় ভাই জাকির হোসেনের স্ত্রী রেহানা আক্তার তাঁর স্বামী, দেবর ও শ্বাশুড়িসহ ছয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন মাহবুব হোসেন, জাকির হোসেন, মোস্তফা হোসেন, নূরানী বেগম, শমলা খাতুন ও আইরিন আক্তার।
মামলার বাদি রেহেনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী জাকির হোসেন তার নিজের পছন্দে আমাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তার পরিবারের লোকজন আমাকে মেনে নিতে পারেনি। আমার স্বামী একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার জন্য আমার ওপর অন্যায়-নির্যাতন শুরু হয়। সবকিছু জেনেও আমার স্বামী নির্যাতনের প্রতিবাদ করেনি। সম্প্রতি আমাকে রাখার জন্য বাড়িতে আলাদা একটি ঘর করে দেন আমার স্বামী। এরপর থেকে আমার ওপর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। আমি ঘরে ঢুকতে পারিনি, আমাকে সবাই মিলে বের করে দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেহেনার এক বড় বোন জানান, ঈদের দিনের মারধর ও নির্যাতন করে মাহবুব আমাদের ডেকে রেহেনাকে নিয়ে যেতে বলেন। না নিয়ে গেলে রেহেনা হত্যা করার হুমকি দেন। আমাদের সামনেই রেহেনা ও শিশু ছেলেকে শুশুরবাড়ি থেকে বের করে দেন। এসবের প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগের দাপটে মাহবুব বলেন, ১০টি মার্ডার করলেও আমার মতো মাহবুবের কিছু করার ক্ষমতা কারো নেই বলে হুমকি দেন। এলাকায় এসবের কোনো বিচার পাইনি।এমনকি বোনের স্বামীও কোনো প্রতিবাদ করেনি। তিনি বলেন, তবে আমরা এখন ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে আছি। ছাত্রলীগের তার অনুসারিরা কখন কি করে বসে কে জানে।
বিজয়নগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার প্রেক্ষিতে মাহবুবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মাহবুব ছাড়াও তার মা, দুই ভাই মোস্তফা ও জাকিরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।