Home > ভ্রমণ > পঞ্চগড় থেকে ভারত-নেপাল ও ভুটান যাবে ট্রেন

পঞ্চগড় থেকে ভারত-নেপাল ও ভুটান যাবে ট্রেন

ওরেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, পঞ্চগড় থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন হলে ভারতের শিলিগুড়ি, দার্জিলিং এবং নেপাল-ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। সেই সঙ্গে বাড়বে বাণিজ্য।

তিনি বলেন, দিনাজপুর থেকে তিন থেকে চারটি পথ দিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হবে। এমন প্রস্তাবনা আমরা তৈরি করেছি। রেলওয়ে লালমনিরহাট ডিভিশন থেকে মন্ত্রণালয়ে এমন প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

সবকিছু যাচাই-বাছাই করে বিরল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথ নির্মাণের একটি ভালো প্রকল্প নেয়া হবে। যাতে করে মানুষ ভবিষ্যতে মনে রাখবে।

সোমবার (০৬ জুলাই) দুপুরে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পাকুড়া রেলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাই পরিদর্শন শেষে এক সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় বিরল রেলবন্দরকে দেশের এক নম্বর রেলবন্দর হিসেবে রূপান্তরের জন্য সরকার কাজ করছে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এক সময় দেশের মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল। তবে বর্তমানে আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এবার বাংলাদেশে তিন কোটি ৭৫ লাখ মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে খাদ্য উৎপাদন হয়েছে তিন কোটি ৯৯ লাখ মেট্রিক টন।

২৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য বাংলাদেশে উদ্বৃত্ত আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে।

বিএনপির আমলে রেলকে সংকুচিত করে দেয়া হয়েছিল, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে রেলকে অন্য মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করেছেন।

বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিরল পৌরসভার মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগরের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী দিনাজপুরে এসে বলে গেছেন বিরলে স্থলবন্দর হবে। অতএব এটি হবেই, কাজ শুরু হয়ে গেছে।

প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার রেললাইনের কাজ হয়েছে, মাত্র ২০০ কোটি টাকার স্লাইড করতে পারব না? ভবিষ্যতে এই বন্দর দিয়ে নেপালেও পণ্য পরিবহন হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, বিরল স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় প্রমুখ।