Home > অন্যান্য > সুখী হতে চাইলে অবশ্যই মোটা মেয়েকে বিয়ে করুন

সুখী হতে চাইলে অবশ্যই মোটা মেয়েকে বিয়ে করুন

শিরোনাম পড়ে অবাব হচ্ছেন? অ’বাক হওয়ার মতই কথা।সামনে যা পেলাম তাই পেটে চালান করে দিলাম, এমন মনোভাব থেকে বের হয়ে এসেছে বেশিরভাগ নারী। এখন তারা নিজের শরীর স’ম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন। খাওয়াদাওয়া থেকে শরীরচর্চা সবটাই করেন মেপে। কোন খাবারটি কী’’ভাবে ও কতটুকু খেলে শরীর ঠিক থাকবে, সেদিকে থাকে তীক্ষ্ণ নজর।

নিজেরা তো বটেই, তারা চান তাদের প্রেমিক বা স্বামীও যেন খাবার এবং নিজের শরীর নিয়ে একটু সচেতন হয়। সবাই এখন বাহ্যিক আকর্ষণে বিশ্বা’সী।নিজেকে সুন্দরী প্রমাণের জন্য কত রকম প্রচেষ্টা করে নিজেকে ঝরঝরে রাখে। কারণ সুন্দর ছিপছিপে ফিগার, লম্বা এবং ফর্সা ছাড়া তাকে যেন ঠিক সুন্দরী বলা যায় না- এমনই মনোভাব তৈরি করেছে সমাজ। পাত্র-পাত্রী বিভাগের বিজ্ঞাপনেই তা স্পষ্ট। সম্প্রতি গবেষণা কিন্তু উল্টো কথা বলছে।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, কোনো পুরুষ জীবনে সুখী হতে চাইলে অবশ্যই তার মোটা মে’য়েকারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, স্বভাবের দিক দিয়ে মোটারা অনেকটা চুপচাপ হন। কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতেও সময় নেন।স্লিম মে’য়েদের তুলনায় মোটা মে’য়েরা স্বামীদের অনেক অনেক ভালো রাখেন। শুধু তাই নয়, স্বামীর চাহিদা-প্রয়োজনও দ্রুত বুঝতে পারেন। পাত্রী চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার আগে কথাটা মনে রাখবেন।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষেরা মেদহীন শরীরের বউ কামনা করে থাকেন। সহধ’র্মিনী বা বউ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রায় প্রত্যেক পুরুষেরই নিজেদের ইচ্ছা বা আলদা চিন্তা ধারা থাকে।সাম্প্রতিক গবেষণায় যা সামনে এসেছে তা শুনলে চ’মকে যাবে যেকোন পুরুষ। গবেষণা বলছে, জীবনে সুখী হতে হলে অবশ্যই মোটা মেয়েদের বিয়ে করা উচিত পুরুষদের। মোটা মেয়েদের তুলনায় স্বভাবের দিক দিয়ে চিকণ শরীরের মেয়েরা অনেকটাই রিজার্ভড হয়। স্বামীর সঙ্গে তারা বন্ধুত্বের স’ম্পর্ক গড়ে তুলতেও অনেকটা সময় নেন।

গবেষকরা জানিয়েছেন, চিকন স্ত্রী’’র তুলনায় তাদের স্বামীদের দশ গুণ বেশি সুখে রাখেন মোটা স্ত্রী’’রা। এছাড়া তাদের সঙ্গীর চাহিদাও তারা অনেক বেশি ভালো বোঝেন। এছাড়াও সন্তানের যত্ন ও পরিবারের প্রতি মোটা মে’য়েদের আগ্রহ বেশি থাকে। সেই জন্য গবেষকরা বলছেন যে মোটা মে’য়েরাই স্ত্রী’’ হিসাবে বেশি ভালো।

বিয়ের আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি!বিয়ে সামাজিক ও শরিয়তসম্মত বন্ধন। মানুষের চরিত্রকে সুন্দর ও নিরাপদ রাখতে, অ’বৈধ দৃষ্টি থেকে চোখকে হেফাজত করতে এবং লজ্জাস্থানের নিরাপত্তা ও সংরক্ষণে বিয়ের গুরুত্ব অ’পরিসীম। তাই দেনমোহর ধার্য সাপেক্ষে ইস’লাম বিয়েকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।

বিয়ের মাধ্যমেই মু’সলিম প্রজন্মের আবির্ভাব। বিয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয় মনের শান্তি, হৃদয়ের স্থিরতা, চরিত্রের পবিত্রতা ও জীবনের পরম সুখের ঠিকানা। বিয়ে করার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি, তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে আইডিভা ওয়েবসাইটে। আপনি চাইলে এই পরাম’র্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।

সে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ?

বিয়ের আগে ভালো করে খেয়াল করুন সে কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই বিষয়ে কোনো দ্বিধা থাকলে বিয়ে না করাটাই ভালো।

সঙ্গীর পরিবার

বিয়ের আগে সঙ্গীর পরিবারের সঙ্গে একবার হলেও দেখা করে নিন। তাহলে বিয়ের কথা শুরুর হওয়ার আগে আপনি বুঝতে পারলেন তাঁরা কেমন ধরনের মানুষ। এতে সব কথাবার্তা মানাতে সহ’জ হবে।

সঙ্গীর বন্ধু

যদি আপনি এতদিনে তাঁদের সঙ্গে দেখা না করেন, তাহলে আজই দেখা করে নিন। কারণ বিয়ের আগে সঙ্গীর বন্ধুর সঙ্গে দেখা করা খুবই জরুরি। সে আসলে কেমন মানুষ, সেটা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলেই বুঝতে পারবেন।

সঙ্গীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

বিয়ের পর সুখে থাকতে চাইলে আগে জেনে নিতে হবে সঙ্গীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী’’। এতে পরবর্তীতে সে আপনাকে বা আপনি তাকে দোষারোপ করতে না পারেন, সে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে গেল!

আপনাকে কতটুকু সম্মান করে

প্রতিটি স’ম্পর্কে সম্মান থাকা’টা খুবই জরুরি। তাই বিয়ের আগে ভালো করে খেয়াল করুন সে আপনাকে কতটুকু সম্মান দিচ্ছে। এই বিষয়ে ঘাটতি থাকলে সংসারে কখনোই সুখী হতে পারবেন না।

আপনার সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেয় কি না

যে বিয়ের আগে আপনার সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেয়, সে বিয়ের পরও দেবে। তাই এমন মানুষকে চোখ বন্ধ করে বিয়ে করে ফেলুন। আর এমনটা যদি না হয়, তাহলে ভাবুন, ভাবুন, আরো ভাবুন!

ঝগড়া কী’’ভাবে সামলায়

ঝগড়া হওয়ার পর সে বিষয়টাকে কী’’ভাবে সামলে নেয়, ভালো করে খেয়াল করুন। যদি দেখেন আপনার ওপর সব দোষ চাপিয়ে নিজে ভালো সাজে, তাহলে তাকে বিয়ে করাটা ঠিক হবে না। কারণ বিবাহিত জীবনেও সে এমনটাই করবে।

অর্থনৈতিক অবস্থা

বিয়ের আগে সঙ্গীর অর্থনৈতিক অবস্থার কথা ভালো করে জেনে নিন। কারণ প্রেমের সময় এটা না জানলেও চলে কিন্তু বিয়ের সময় না জানলে পরে আফসোস করতে হতে পারে।