জিমির পর বল হাতে ভেলকি দেখান ক্যারিবিয়ান পেসাররা৷ চতুর্থমুখী পেস আক্রমণের বিরুদ্ধে মাত্র ৭৭ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ড ইনিংস৷ এটি ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর ইংরেজদের৷ দুরন্ত বোলিং কিমার রচের৷ মাত্র ১৭ রান দিয়ে পাঁচটি উইকেট নেন এই ক্যারিবিয়ান পেসার৷
উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ রান তোলে ইংলিশরা। এই রানে ফিরে যান কিয়েটন জেনিংস। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে সফরকারীরা। ৩৫ রানে দ্বিতীয়, ৪৪ রানে তৃতীয়, ৪৪ রানেই চতুর্থ, ৪৮ রানে পঞ্চম, একই রানে ষষ্ঠ, ৪৯ রানে সপ্তম, ৬১ রানে অষ্টম, ৭৩ রানে নবম ও ৭৭ রানে দশম।
মাত্র ২৭ বলের ব্যবধানে চার খরচ করে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন রোচ৷ ক্যারিবিয়ান পেস ব্যাটারির সামনে মাত্র ৪৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ইংল্যান্ড৷ সেখান থেকে স্যাম কারেন ও আদিল রশিদের লড়াই করলেও ইংল্যান্ড একশোর গণ্ডি টপকাতে পারেনি৷
ক্যরিবিয়ানদের ব্যাটসম্যানদের বিরুদ্ধে দারুণ সফল জেমস অ্যান্ডারসন৷ ৪৬ রানে পাঁচ উইকেট নিয়ে ইংরেজ পেসার ইয়ান বোথামের রেকর্ড ছুঁলেন তিনি৷ ইংল্যান্ড পেসার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ২৭বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নিয়ে বোথামের রেকর্ড স্পর্শ করেন জিমি৷
বৃহস্পতিবার ৭৭ রানে অল আউট হওয়ার আগে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে তিনবার এর চেয়ে কম রানে অল-আউট হয়েছে ইংল্যান্ড৷ যার দুটি ছিল ক্যারিবিয়ানদের মাটিতে। যার প্রথমটি ১৯৯৪ সালে ত্রিনিদাদে মাত্র ৪৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। এটিই ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের সর্বনিন্ম স্কোর ৫১৷ ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জ্যামাইকায় তারা অলআউট হয়েছিল মাত্র ৫১ রানে। এছাড়া ১৮৮৭ সালে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৫০ রানের আগেই গুটিয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড৷