মোবাইল ফোনের সরঞ্জামাদির মধ্যে ব্যাটারি অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই ব্যাটারি যত্নে রাখা খুবই প্রয়োজন। একবার বন্ধ হলেই শেষ। ফোনতো আর চলবে না। একটু খেয়াল রাখলেই এ ব্যাটারি একবার চার্জ দিয়ে লম্বা সময় ধরে ব্যবহার করা যায়। চলুন একনজরে জেনে নেয়া যাক স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ বেশিক্ষণ ধরে রাখার উপায়গুলো :
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাটারির চার্জ ৫০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে রাখা উচিত। খেয়াল রাখতে হবে, চার্জ কমতে কমতে যেন ২০ শতাংশের নিচে নেমে না যায়। রাতভর স্মার্টফোন চার্জে বসিয়ে রাখলেও সমস্যা নেই। কারণ, বর্তমানের অনেক স্মার্টফোনই নিজ থেকে বুঝতে পারে, কখন সেটি শতভাগ চার্জ হয়েছে।
এরপর নিজ থেকেই ফোনটি চার্জ নেওয়া বন্ধ করে দেয়। ফোন কোম্পানিগুলোর প্রায় সবই এখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করে। এই ব্যাটারি একবার চার্জ করে লম্বা সময় ধরে ব্যবহার করা যায়।
কোম্পানিগুলোর প্রায় সবই এখন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করে। এ ব্যাটারি একবার চার্জ করে লম্বা সময় ধরে ব্যবহার করা যায়।
তাপমাত্রা নিয়ে সচেতনতা
লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির কেন্দ্রে থাকা রাসায়নিক পদার্থ কখনোই খুব বেশি বা খুব কম তাপমাত্রা পছন্দ করে না। তাই ফোনকে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত। খুব কম অথবা বেশি তাপমাত্রা ব্যাটারির ভেতরের ক্ষয় ত্বরান্বিত করে। তাই গাড়ির ইঞ্জিন বরাবর অথবা সরাসরি সূর্যের আলোতে স্মার্টফোন রাখা উচিত নয়। এতে ব্যাটারি তাপ শোষণ করে বেশি উষ্ণ হয়ে পড়তে পারে।
ধৈর্য ধরুন
খরগোশের মতো নয়, বরং কচ্ছপের গতিতে চার্জ করলে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে এর অর্থ এই নয় যে, ফাস্ট-চার্জিং কিংবা তারবিহীন চার্জিং প্রযুক্তি খারাপ। কিন্তু এ সুবিধাগুলো নিতে হলে অবশ্যই কিছু বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। ফাস্ট–চার্জিং প্রযুক্তির জন্য অবশ্যই যে কোম্পানির স্মার্টফোন তারই চার্জার ব্যবহার করতে হবে। তারবিহীন চার্জিংয়ের ক্ষেত্রেও একই নীতি প্রযোজ্য। তবে ওই স্মার্টফোন কোম্পানি যদি অন্য কোনো পক্ষের নির্মিত চার্জার ব্যবহারে বৈধতা দেয়, তবে তা ব্যবহার করা যেতে পারে।
চার্জ রাখুন মাঝামাঝি
কোনো কারণে স্মার্টফোন কিছুদিনের জন্য ব্যবহার না করলে, দুটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত, ব্যাটারি ৫০ শতাংশের কাছাকাছি চার্জ দিয়ে রাখা উচিত। ব্যাটারির চার্জ সম্পূর্ণ ফুরিয়ে অথবা পূর্ণ চার্জ অবস্থায় রাখার চেয়ে মাঝামাঝি রাখাটাই উত্তম। ট্যাবের ক্ষেত্রেও একই নীতি মেনে চলা উচিত। দ্বিতীয়ত, পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমন জায়গাতে রাখা যাবে না, যেখানে ফোন অতিরিক্ত উষ্ণ বা শীতল হয়।
আপডেট থাকুন
ব্যাটারি দীর্ঘদিন ব্যবহার উপযোগী রাখতে ফোনের সফটওয়্যার আপডেট করার বিকল্প নেই। আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড দিন দিন বেশ উন্নতি করছে। এ অপারেটিং সিস্টেমগুলো ইদানীং নিজ থেকেই ব্যাটারি–সংক্রান্ত অনেক বিষয়ের ওপর নজরদারির সক্ষমতা অর্জন করছে। তাই সফটওয়্যারগুলোর সর্বশেষ ভার্সন ব্যবহারের চেষ্টা করতে হবে।
অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার হালনাগাদ করা থাকলে অন্য সুবিধাও রয়েছে।
একবার চার্জ দিয়ে বেশি সময় ব্যবহার
প্রতিটি ব্যাটারির নির্দিষ্ট জীবনকাল আছে। কত দিন একটি ব্যাটারি সেবা দিতে পারবে সেটি নির্ধারণ করে দেয় এর ভেতরে থাকা রাসায়নিক উপাদান। প্রতিবার শতভাগ চার্জ আর পুরোপুরি ব্যবহার ব্যাটারির জীবনকালকে সীমিত করে ফেলে। এ জন্য একবার চার্জ করে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করার চেষ্টা করা উচিত। কিছু বিষয়ের দিকে একটু নজর দিলে চার্জ কম খরচ করেও দীর্ঘ সময় ফোন ব্যবহার করা যায়। যেমন, মোবাইল স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা কমিয়ে রাখা ও ফোনের স্পিকারের পরিবর্তে হেডফোন দিয়ে ভিডিও দেখা ও অডিও শোনা ইত্যাদি।