চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা শেষ করেছেন কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি ও বাংলাদেশি মডেল ও অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। পড়াশোনা, গবেষণা, এদেশ থেকে ওদেশে দৌঁড়-ঝাঁপ, এতকিছুর মাঝেই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ডেবিউটা সেরেই ফেললেন মিথিলা। হইচইয়ের হাত ধরেই প্রথমবার ওয়েব সিরিজে অভিনয় করতে দেখা যাবে মিথিলাকে। নেপথ্যে ‘একাত্তর’।এক পাকিস্তানি সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এক প্রেম-ভালবাসার গল্প। কসরত করে শিখে ফেলেছেন উর্দু ভাষা। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পা রেখেই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় মিথিলার।
প্রেক্ষাপট বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালে ওপার বাংলাদেশের বাংলাভাষীদের নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে ‘অপারেশন ব্লিৎজ’-এর পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তানি আর্মি। পাকিস্তানি আর্মিদের বশ্যতা অস্বীকার করে তাদের বিরুদ্ধে কিছু মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। সেই বিষয়ের প্রেক্ষাপটেই এক প্রেম-ভালবাসার কাহিনি ‘একাত্তর’। পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশের খ্যাতনামা পরিচালক তানিম নূর। যিনি কিনা এর আগেও হইচইয়ের জন্য ‘ঢাকা মেট্রেো’ এবং ‘মানি হানি’ নামে দু’টি ওয়েব সিরিজ তৈরি করেছিলেন। তানিমের তৃতীয় প্রচেষ্টা ‘একাত্তর’ও যে দর্শকদের নিরাশ করবে না, তার ইহ্গিত মিলল ট্রেলারেই।
ফেরা যাক মিথিলার চরিত্র প্রসঙ্গে। কীরকম চরিত্রে দেখা যাবে মিসেস মিথিলাকে? চরিত্রটির নাম রুহি। পাকিস্তানি আর্মি মেজরের স্ত্রী রুহি, যিনি কিনা পেশায় একজন সাংবাদিকও। একাত্তরের অগ্নিগর্ভ পরিবেশে পাকিস্তান থেকে স্বামীকে কিছু না জানিয়েই একটি রিপোর্টের অন্তর্তদন্তের খাতিরে মিথিলা অর্থাৎ রুহি চলে আসেন বাংলাদেশের। তার লেখালেখিতে বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে স্বামী পাকিস্তান আর্মি মেজর ওয়াসিমও। এরকমই একটি চরিত্রে দেখা যাবে সৃজিত-পত্নীকে।
পাকিস্তানি সাংবাদিকে চরিত্রে অভিনয়ের জন্য কসরতও হয়েছে। বিশেষভাবে উর্দু ভাষাও শিখতে হয়েছে মিথিলাকে। মিথিলা ছাড়াও ‘একাত্তর’-এ অভিনয় করেছেন পাকিস্তানি মেজরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইরেশ জাকের। এক গ্যাং লিডারের চরিত্রে রয়েছেন মোস্তফা মনোয়ার। আর তারই বান্ধবীর ভূমিকায় দেখা যাবে নুসরাত ইমরোজকে। এই ৪টি চরিত্র কীভাবে একাত্তরের প্রেক্ষাপটে ‘অপারেশন ব্লিৎজ’-এর সঙ্গে জড়িয়ে পডে, জানতে হলে চোখ রাখতে হবে হইচইয়ের পর্দায়। আগামী ২৬ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে স্ট্রিমিং।