শরীয়তপুরের ইতালি প্রবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগের বাড়িই নড়িয়ায়। গেল দুই সপ্তাহে দেশটি থেকে এলাকায় ফিরেছেন দেড় শতাধিক প্রবাসী।
সম্প্রতি ইতালি ফেরত দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্তের পর উদ্বিগ্ন নড়িয়াবাসী। এদিকে দেশে আসা এসব রেমিটেন্স যোদ্ধাদের কর্মস্থলে ফেরা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
ইতালিতে করোনা আক্রান্ত রোগী বৃদ্ধির পর দেশটি থেকে নড়িয়ায় ফিরতে শুরু করেছেন প্রবাসীরা। গ্রামের বাড়িতে আসার পর থেকেই সবার থেকে দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছেন তারা। আর ঝুকি এড়াতে স্বজনকে কাছে পেয়েও ১৪ দিন নিরাপদ দুরত্বে রাখছেন পরিবারের সদস্যরাও।
এদিকে দেশে ফেরা এসব প্রবাসী বলছেন, বিমানবন্দরে কোন ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষাই হয়নি তাদের। এছাড়া আবারও ইতালিতে ফেরা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন অনেকেই।
নড়িয়ায় ফেরা এসব প্রবাসীর কথা মাথায় রেখে জেলা সদর হাসপাতালে পাঁচ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে একশ শয্যা।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সুমন কুমার পোদ্দার জানান, এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কোন প্রবাসী রোগী পাওয়া যায় নাই বা তাদের স্বজনদের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তার খবরও পাই নাই।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মনির হোসেন খান বলেন, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ৫টি বেড রেডি রেখেছি। একজন নড়িয়ার ইটালি ফিরত ব্যাক্তি হাসপাতালে এসেছিলো। কোরোনা ভাইরাস এর কোন উপসর্গ পাওয়া যায়নি। তাকে বলা হয়েছে, কম পক্ষে ১৪ দিন আলাদা ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
স্থানীয়দের হিসেব মতে জেলার ৭০ থেকে ৭৫ হাজার মানুষ ইতালিতে বসবাস করে। যার মধ্যে ৮০ ভাগই নড়িয়ার।
সিভিল সার্জন এসএম আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, নড়িয়া ইটালি থেকে ১৪ দিনের ভেতর যারা এসেছে। তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।।তারা যাতে ঘর থেকে না বেড় হয়।
এছাড়াও আমরা স্বাস্থ কমপ্লেক্স সহ প্রতিটি বিদ্যালয়ে জনসচেতনতা মূলক ক্যাম্পিং করা হবে। লিফলেট বিতরণ করা হবে। আপনাদের সহযোগিতা ও লাগবে।