জাতীয় লিগ খেলতে হলে এবার বিপ টেস্টে পেতে হবে নূন্যতম ১১। এ নিয়ে বেশ শঙ্কা প্রকাশ করেছিল ক্রিকেটাররা। আজ বিপ টেস্টের পর অবশ্য উতরে গেছেন অনেকেই, ব্যর্থও হয়েছেন কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার।
আজ মিরপুরের ইনডোরে হতে থাকা বিপ টেস্টে মোহাম্মদ আশরাফুলের পাওয়া পয়েন্ট ৯.৭। ১১ ছুতে পারেননি আব্দুর রাজ্জাকও। আশরাফুলের চেয়ে কিঞ্চিৎ পিছিয়ে আছেন তিনি, পেয়েছেন ৯.৬। লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন উতরে গেছেন, পেয়েছেন ১১.২।
ব্যর্থদের তালিকাতে নাম লিখিয়েছেন নাসির হোসেনও। বিপ টেস্টে তিনি পেয়েছেন ৯.৭। অল্পের জন্য পাশ মার্ক পাননি মোহাম্মদ শরীফ ও আরাফাত সানী। তারা আটকে গেছেন যথাক্রমে ১০.৭ এবং ১০.৯ এ। নিজ নিজ বিভাগে বিপ টেস্ট দেওয়া তুষার ইমরান ও অলক কাপালি পেয়েছেন যথাক্রমে ৮ ও ১২। তুষার ইমরান না পারলেও উতরে যেতে পেরেছেন অলক কাপালি। ব্যর্থ হওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে ইলিয়াস সানি পেয়েছেন ১০, নাদিফ চৌধুরী ১০.৪।
হিসাব বলছে ৯৬ ভাগ ক্রিকেটারই পাশ করেছেন এই টেস্টে। বিপ টেস্টের ফল সম্পর্কে বলতে গিয়ে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ’ঢাকার বাইরের রেজাল্ট গুলো আমরা এখনো পাইনি, তবে ঢকার মধ্যে যারা দিয়েছে তাদের মধ্যে ৯৬ ভাগই পাশ করেছে। আসলে ঘরোয়াতে আমরা একটা কাঠামো তৈরির চেষ্টা করছি যার প্রথম ধাপ ফিল্ডিং ও ফিটনেস।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা গতবারও ছিল, এবারও আগে থেকেই বলা হয়েছে। তবে মানদণ্ডটা আগের বারের চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানোর কারণেই একটু আলোচনা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই এটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্যই ভালো।’
ব্যার্থদেরকে কি করা হবে এই প্রসঙ্গে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘এই সুযোগটা সবার জন্যই থাকছে। যতক্ষণ সে এই লেভেলে পৌঁছাতে না পারছে আমরা তার বিপ টেস্ট নিবো, দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার যতবারই লাগে। আসলে আমরা যদি বলে দিতাম যে লক্ষ্যটা এমনি এমনি দেওয়া, এর নিচে দিলেও নিবো সেক্ষেত্রে এতটা গুরুত্ব দিতনা ক্রিকেটাররা। এখন কি হল সবাই অন্তত একটা মার্ক পর্যন্ত গিয়েছে, চেষ্টা করেছে। বুঝতে পেরেছে যে তাদের উন্নিতি করতে হবে।’