সোমবার পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর পর করাচি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়িয়েছে। পাকিস্তানে আবারো ক্রিকেট ফেরানোর লক্ষ্যে এটিকে একটি বড় ল্যান্ডমার্ক হিসেবে দেখছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে টি-টোয়েন্টি ওভারের ফরম্যাটের আদলে এশিয়া কাপের নতুর আসর বসতে যাচ্ছে পাকিস্তানে। এই আসরের আগে পাকিস্তানে বর্হিবিশ্বে নিরাপত প্রমাণ করার জন্য অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শ্রীলঙ্কাকে দেশে এনেছে তারা। শ্রীলঙ্কার ছাড়াও চলতি বছরের নভেম্বর ও আগামী বছরে শুরুকে পাকিস্তানে সফরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বিসিবি।
তবে এই সফর গুলো সফর ভাবে পাকিস্তান আয়োজন করতে পারলেও ক্রিকেটের পরাশক্তি ভারতকে পাকিস্তান সফরে পিসিবি রাজি করাতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ক্রিকেটসহ দুই দেশের মধ্যকার সবধরনের সম্পর্কই প্রায় ছিন্ন বলা চলে।
আসন্ন এশিয়া কাপের আসরে ভারত যদি পাকিস্তান সফরে আসতে রাজি না হয় তাকে টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানে গড়ানো নিয়ে শঙ্কা আছে। কারণ এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলও (এসিসি) গেলো দুই আসরের চ্যাম্পিয়নকে ছাড়া এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাইবে না। এজন্য পাকিস্তানে ক্রিকেট পুরোদমে ফেরাতে পিসিবির এখন প্রয়োজন ভারতের সম্মতি। ভারত চাইলে যে কোনে সময় পাকিস্তান সফরে আসতে পারে। তার জন্য পিসিবি প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান।
ওয়াসিম খান বলেন, ‘আমাদের এখন ভারতীয় দলের সম্মতি প্রয়োজন। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর আসতে এখনও অনেক সময় বাকি। তবে জুনের মধ্যেই আমাদের জানতে হবে টুর্নামেন্টটি কোথায় আয়োজিত হবে। তবে এ সিদ্ধান্তটি এখন এসিসি ও আইসিসিকে নিতে হবে। আমরা এশিয়া কাপে ভারতকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত।’
পিসিবির প্রধান নির্বাহী আরও জানান দুই দেশের বোর্ডের মধ্যে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব হয় না। তবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হলেও খুব শীঘ্রই ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার