Home > আন্তর্জাতিক > জেলে পরিচয় হওয়া আসামিকে বিয়ে করলেন লেডি কনস্টেবল পায়েল

জেলে পরিচয় হওয়া আসামিকে বিয়ে করলেন লেডি কনস্টেবল পায়েল

অনেকেই বলেন ’ভালোবাসার অনুভূতি কেমন, প্রেমে পড়ার অনুভূতি কি ধরণের’। আবার অনেকে বলেন, ’প্রেমে পড়লেই কি ছেলেমানুষের মতো ব্যবহার করতে হবে’। পৃথিবীতে খুব কম মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে যাদের জীবনে প্রেম আসেনি। আর এ কারণে জীবনে একবারের মতো হলেও প্রেমে পড়েনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া আসলেই মুশকিল। প্রেমে পড়ার অসাধারণ এই অনুভূতিটা সব মানুষই পেতে চায়। ফলে প্রেমে পড়লে জীবনে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে

প্রেমে পড়লে বুদ্ধি লোপ পায়, প্রেম অন্ধ, তা ঠিক। এই অন্ধ প্রেমের এক নজির গড়লেন উত্তরপ্রদেশের পুলিশ কনস্টেবল পায়েল। এনার থানায় লক-আপে থাকা এক খু নের অভিযুক্তের সাথে মন দেওয়া-নেওয়া হল। শুধু প্রেমই নয়, রাহুল থসরানা নামে ওই দুষ্কৃতী জামিনে মুক্ত হতেই করে মালাবদলও শেরে ফেললো তারা।

এখন পায়েলের বিরুদ্ধে জোর কদমে এক কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কোথাই ভাবছে পুলিশ প্রশাসন। খোদ যোগী রাজ্যের এক পুলিশ কর্মীর এরকম ঘটনায় সকলেই তাজ্জব।

২০১৪ সালে মনমোহন গয়াল নামে এক ব্যবসায়ীকে খু নের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রাহুলকে। সুরজপুর আদালতে খু নের মামলায় জড়িত আসামির সাথে প্রথম পুলিশ কনস্টেবল পায়েলের সাথে দেখা হয়। তারপর প্রায় তার কোর্টে দেখা হত পায়েলর সাথে, আর সেখান থেকেই প্রেম শুরু। এতদিন গোপনে চললেও বর্তমানে তা তার প্রকাশে আনল। সূত্রের খবর, বেশ কয়েক বছর ধরেই গ্রেটার নয়ডা এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছিল বছর ৩০-এর রাহুল থসরানা।

পুলিশ সুপার রণবিজয় সিং বলেন, ’পায়েলের কোনও হদিশ নেই। তবে তাকে খুঁজে পাওয়া মাত্র ব্যাবস্থা নেবে বলেই জানিয়েছে পুলিশ, এমনটাই জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, কথায় বলে, প্রেমের আবেগে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়। বাস্তবতা মেনে নিতে কষ্ট হয়। প্রেমের আবেগে কেউ আপ্লুত হন কিন্তু প্রেমের আবেগ কেটে গেলে তো সেই বাস্তবতা এসে সামনে দাঁড়ায়।কিন্তু বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে দুজনকে হয়তো থাকতে হয় অনেক দূরে।