শারদীয় দুর্গাপূজা বাঙালির জাতীয় উৎসব। এখানে উৎসবটাই প্রধান আর ধর্মটা উপলক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন,আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুর শহরের ঐতিহাসিক অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপের অনুকূলে বরাদ্দকৃত জিআর চাল প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ফরিদপুরে শারদীয় দুর্গোৎসব অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠিত হয়। এ ব্যাপারে সারাদেশে ফরিদপুরের সুনাম রয়েছে। ফরিদপুর সারাদেশের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এখানে জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই সব ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন- জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক সুকেশ সাহা।
এতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. লোকমান হোসেন মৃধা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, কোতোয়ালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্যা, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম, পৌর মেয়র শেখ মাহাতাব আলী মেথু ও ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. ইমতিয়াজ হাসান রুবেল প্রমুখ।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের সংবিধানে সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু বলে কোনো কথা নেই। এখানে সকল ধর্মাবলম্বীর অধিকার সুনিশ্চিত করা আছে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এই নীতিতে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ। এখানে সবাই সমান। কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ নেই।
তিনি বলেন, ফরিদপুরে অতীতকাল থেকে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও নিরাপত্তার সঙ্গে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়। তারপরও দুর্গোৎসবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ বিশেষ করে ছাত্রলীগের কর্মীদের ১০ জন করে এক একটি দলকে প্রতিটি মণ্ডপে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, কোথাও নিরাপত্তার শঙ্কা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানাবেন। আমি প্রতিবারের মতো এবারও দুর্গোৎসব চলাকালে ফরিদপুরে অবস্থান করব।