রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেকাব পরা নিষিদ্ধের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। নেকাব নিষিদ্ধ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ জারি করলে পুরো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ঝড় উঠে।
এ ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেছেন ওই হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম। গতকাল রোববার রাতে তিনি এ পদত্যাগপত্র দিয়েছেন।
তবে হাসপাতালের ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর আশরাফুল আলম বলেন, নার্সরা নেকাব পড়লে তাদের চেনা যায় না। অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকে। এটি এড়িয়ে চলার জন্যই কর্তৃপক্ষ ড্রেসকোড মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছেন।
গেল ২৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ‘ড্রেসকোড সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি’ নিয়ে সারা দেশে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। একপর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে আরেক অফিস আদেশে নেকাব নিষিদ্ধের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করেন ডা. মো. রফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলামের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে দিয়ে নেকাব নিষিদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে তিনি মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে মালিকপক্ষ হাসপাতালে তার সঙ্গে অসদাচরণ করে। কর্তৃপক্ষের অন্যায় আচরণে আহত হয়ে পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম পদত্যাগ করেন।
গেল ২৩ সেপ্টেম্বর রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ‘ড্রেসকোড সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি’ নামে একটি নোটিশ জারি করে। এতে ছেলেদের ক্ষেত্রে হাফহাতা শার্ট, গেঞ্জি, পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, সেন্ডেল ও ময়লাযুক্ত/তিলাপরা পোশাক এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে নেকাব, শাড়ির ওড়না, প্লাজু, স্কাট পরিধান করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ করা হয়।