দুর্ঘটনায় রক্তাক্ত ফখরুলকে আনা হলো ঢাকায়

দুর্ঘটনায় আহত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ঢাকায় আনা হয়েছে। আজ সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নভোএয়ারের ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীন টার্মিনালে নামেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমানে সুস্থ আছেন। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘এখন আমি সুস্থ আছি, ভালো আছি।এখন গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালে যাচ্ছি, সেখানে ডাক্তার পরীক্ষা করবেন। আবার রাতে বাসায় (উত্তরা) ফিরে যাব।’

এর আগে বিকেলে রংপুর উপনির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারে গিয়ে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। ট্রাকে করে প্রচারের সময় পড়ে গিয়ে আহত হন তিনি। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান বিএনপি নেতারা।

জানা গেছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমানের পক্ষে প্রচারে সোমবার দুপুরেই রংপুর গিয়েছিলেন ফখরুল। বিকেলে নগরীর পায়রা চত্বরে একটি পথসভার পর দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শাপলা চত্বরে যাচ্ছিলেন তিনি।

মিছিলের সামনে থাকা ট্রাকের ওপর ছিলেন ফখরুল। এক পর্যায়ে নিজেই মিছিলে স্লোগান ধরতে শুরু করেন তিনি। ওই সময় ভিড়ের মধ্যে ট্রাক হঠাৎ গতি কমাতে ব্রেক করলে ট্রাকের ওপরেই পড়ে যান তিনি।

তখন বিএনপি মহাসচিবকে সেখানকার প্রাইম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার অধ্যক্ষ নুরুল ইসলামই বিএনপি মহাসচিবের চিকিৎসা করেন বলে তার সঙ্গে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন।

ফখরুলের বাম হাতে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। আঘাত পাওয়ার পর বাম হাতের তালু থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল বলে শায়রুল জানান।

বিএনপি মহাসচিবের সফরসঙ্গী সাবেক সংসদ সদস্য জহিরউদ্দিন স্বপন বলেন, ‘হাসপাতালে আসার পর ফখরুলর সুগার ফল করেছিল। চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রাম রেখেছেন।’

চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। সঙ্গে যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল আছেন। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হবে।’

রংপুরে হাসপাতালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, শামা ওবায়েদ ও তাসভীরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম ছিলেন।

প্রসঙ্গত, রংপুর-৩ আসনে উপনির্বাচনে আগামী ৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। এই নির্বাচনে ধানের শীষের রিটার প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন জাতীয় পার্টির সাদ এরশাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহরিয়ার আসিফ। আওয়ামী লীগ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় নৌকার প্রার্থী এখানে নেই।