চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশী দেশ চীন, জাপান ও ভারত বাংলাদেশের ‘পাশে নেই’ বলে জানিয়েছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।
তিনি বলেছেন, ‘জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন ও ওআইসি সেক্রেটারিয়েট যৌথভাবে জাতিসংঘ সদর দফতরে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব করেছে। কিন্তু চীন, জাপান ও ভারত কেউ সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়নি। অথাৎ তারা এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে নেই।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আমরা চীনকে আমাদের পাশে পেলাম না, আমরা ভারতকে আমাদের পাশে পেলাম না, জাপানকে পাশে পেলাম। এই বেদনা আমরা কোথায় রাখি?’
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম-এল) আয়োজিত ‘গণচীনের ৭০তম বিপ্লব বার্ষিকী’ উদযাপনের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেনন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা আমাদের জাতির জন্য একটি বড় সমস্যা। বার্মিজ গণহত্যার হাত থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা করার জন্য আমরা আমাদের দরজা খুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু আজকে এটা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল আমরা বারবার দেখলাম যিনি মিয়ানমারের প্রতিনিধি তিনি স্পষ্টই বলে দিলেন, বাংলাদেশের কথাবার্তা শুনতে তারা রাজি না।’
মেনন বলেন, ‘আমরা চীনকে অনুকরণ করে রাজনীতি করেছি, তারা বারবারই আমাদের আশাহত করেছে। মুক্তিযুদ্ধে চীন আমাদের পাশে দাঁড়ালো না। তখন আমরা আশাহত হয়েছিলাম। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও চীনকে আমরা পাশে পেলাম না। আবারও আশাহত হলাম।’
তিনি বলেন, ‘৭১ এ চীন আমাদের পাশে না দাঁড়িয়ে বরং পাকিস্তানি গণহত্যার পক্ষ নিয়েছিল। সে সময় তাদের ভূমিকা বাংলাদেশের বিপক্ষে গিয়েছিল। সেদিনের জন্য আজ চীনকে দোষ দেবো না।
কারণ সেদিন আমাদের অনুকরণের রাজনীতির কারণেই অনেকেই স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করছেন। আজকে চীন তাদের ভ্রান্ত ধারণা থেকে বের হয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এখন তাদের বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষের সাথে সম্পর্ক নেই। তাদের শুধু ব্যবসায়িকদের সাথে সম্পর্ক।’
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান ও গণতান্ত্রী পার্টির সভাপতি ড. শাহাদাৎ হোসেন প্রমুখ।