২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। এরপর ২০১৬ সালে ১০ এপ্রিল একটি টেলিভিশন চ্যানেলে বিয়ে ও সন্তানের ব্যাপারে প্রথম মুখ খোলেন অপু। ওই সময়ই তিনি জানান, শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার সময় অপু বিশ্বাস সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তখন অপু বিশ্বাস নাম পরিবর্তন করে অপু ইসলাম নাম ধারণ করেন বলেও জানা যায়।
সম্প্রতি অপু বিশ্বাসের ‘ধর্ম’ পালন নিয়ে নানা ধরনের কথা উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তবে বিষয়টি বরাবরই এড়িয়ে গেছেন এই চিত্রনায়িকা। এবার ধর্ম প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন অপু।
তিনি বলেন, ‘সব ধর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেছিলাম (ইসলাম ধর্মের কথা), আমি এখনও করি। কিন্তু আমার বাবা-মার সঙ্গে থেকে তো আমি ওটা করতে পারি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাগজে-কলমে, মনে প্রাণে বা গরুর মাংস খেয়ে বা হজ্ব করে আমি নিজে মুসলিম হইনি। একজনকে ভালোবেসে মুসলিম ধর্মকে সম্মান দেখিয়েছি, আজও দেখাই। সব ধর্মের প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধা আছে।’
পাশাপাশি অপু আরও জানান, ‘আদালতের মাধ্যমে যেভাবে ধর্মান্তর করা হয় আমার বেলায় সে রকম কিছুই হয়নি। ঈদ এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি আমার যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। কিন্তু আমার কখনো ঈদ উদযাপন করা হয়নি। কোরবানি ঈদ থেকে শুরু করে কোনো ঈদে কোনোদিন কিংবা এখনও আমি গো-মাংস স্পর্শ করিনি। আমার বাসার কাজের লোকদের জন্য আমি খাসি কোরবানির ব্যবস্থা করি।’
কোরআন শিক্ষার বিষয় নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোরআন শিখেছি, এখনও জানি, আমি পড়তেও পাড়ি। কিন্তু আমার তো (ইসলাম ধর্ম পরিবর্তন) কাগজে-কলমে হয়নি।’
সবশেষে অপু জানালেন তিনি হিন্দু ধর্মেই থাকছেন। অপু বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ওই ধর্মেই (হিন্দু ধর্ম) আছি। আমি পূজা করবো এবার, দূর্গাপূজা করবো এবার। আমি বরাবরই করে আসছি।’
এদিকে, পুত্র আব্রাম খান জয় প্রসঙ্গে বলেন, জয়ের ধর্ম নিয়ে আমি এই মুহূর্তে কিছু বলবো না। সময়ই সেটা বলে দেবে। যেসব গণমাধ্যম জয়ের ধর্ম নিয়ে সংবাদ করেছে সেসব বিভ্রান্তিকর ও বানোয়াট। জয়ের ধর্ম নিয়ে আমি কিছু বলিনি আর এ মুহূর্তে কিছু বলতেও চাই না।
অপু বলেন, আমার ছেলে যেহেতু আমার সঙ্গে আছে, সে আমার মতো করেই বড় হচ্ছে। সে তার বাবার সঙ্গে কখনও ঈদ করেনি। ভবিষ্যতের কথা তো বলতে পারব না।