Home > জাতীয় > সারাদেশ > শ্রেণিকক্ষে চুমু, অতঃপর…

শ্রেণিকক্ষে চুমু, অতঃপর…

বরিশালের মুলাদীতে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর চারিত্রিক অবক্ষয়ের অভিযোগের সনদ দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছেন প্রধান শিক্ষক এসএম জাহাঙ্গীর আলম। ফলে ওই ছাত্রী কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে না পারায় ১ বছর ধরে লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে।

ওই ছাত্রী ২০১৭ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাস করে ২০১৮ সালে চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। কিন্তু ওই বছরের আগস্ট মাসেই তাকে টিসি দিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক।

ভুক্তভোগী ছাত্রী পড়ালেখা করতে না পেরে ক্ষোভে-দুঃখে কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, ভুয়া অভিযোগ তুলে তার মেয়েকে টিসি দেওয়া হয়েছে। তার বিদ্যালয় ‘পরিত্যাগের’ কারণ হিসেবে ‘চারিত্রিক অবক্ষয়’ শব্দটি উল্লেখ করায় ওই ছাত্রীকে কোনো বিদ্যালয়ে ভর্তিও করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে চরকালেখান আইডিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম জাহাঙ্গীর আলম ছাত্রীকে ‘চারিত্রিক অবক্ষয়’র সনদ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ওই ছাত্রী শ্রেণিকক্ষে এক সহপাঠীকে জড়িয়ে ধরে চুমু দেওয়ায় বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।’

জেলা প্রশাসক তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দায়িত্ব দিলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিটন ঢালী তদন্ত কাজ শুরু করে। বিয়ষটি তদন্তাধীন থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা লিটন ঢালীর বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে।

বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার জানান, কোনো ছাত্রীকে চারিত্রিক অবক্ষয়ের জন্য বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।