ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপের খবর ফাঁস হওয়ার পর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি কার্ট ভলকার।
ওই ফোনালাপ থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে পুনরায় জিততে টেলিফোনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সাহায্য চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই অভিযোগ উঠার পর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলসি। তদন্তে দোষী সাব্যস্থ হলে ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসনের মুখে পড়বেন ট্রাম্প।
অভিযোগ উঠেছে, জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পকে কথা বলিয়ে দেয়ার বিষয়ে এই কার্ট ভলকার-ই সহযোগিতা করেছিলেন। এই অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে কংগ্রেসনাল কমিটির সামনে হাজির হওয়ার আগেই সরে দাঁড়ালেন তিনি।
আরিজোনা ভিত্তিক শিক্ষা বিষয়ক একটি পত্রিকা প্রথম দাবি করে, গত ২৫ জুলাই ইউক্রেনের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। ওই সময় ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রধান ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে তিনি ফোনে চাপ দেন।
এই তদন্ত শুরু না হলে ইউক্রেনের জন্য সামরিক সাহায্য স্থগিত রাখা হবে, ট্রাম্প এমন হুমকি দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয় পত্রিকায়।
এরপর মার্কিন প্রশাসনে রটে যায় ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবীর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের বৈঠকের আয়োজন করে দেন ভলকার।
এ ঘটনায় প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিশংসন তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি।
মঙ্গলবার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে পেলসি বলেন, ‘আজ, আমি হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভে দাঁড়িয়ে আনুষ্ঠানিক অভিশংসন তদন্তের ঘোষণা দিচ্ছি। প্রেসিডেন্টকে অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।’
তিনি আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত যা করেছেন তাতে গুরুতরভাবে সংবিধান লংঘন করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রার্থী জো বাইডেনকে কালিমালিপ্ত করতে ট্রাম্প বিদেশি সাহায্য চেয়েছেন এবং এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সহায়তাকে তিনি দর-কষাকষির হাতিয়ার করেছেন।