জাতীয় গ্রিডের হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ১৫০ ফুট উঁচু টাওয়ারে উঠেও বেঁচে গেলো নাসির (৩০) নামের এক ব্যক্তি। তার বাড়ি নোয়াখালি সেনবাগ উপজেলার ইয়ারপুর গ্রামে।
জানা যায়, কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঘারমোড়া হাদির খাল এলাকায় শুক্রবার বিকেলে মো. নাসির হঠাৎ উঠে যান জাতীয় গ্রিডের হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ১৫০ ফুট উঁচু টাওয়ারের একেবারে চূড়ায়। চূড়ায় উঠে তিনি চিৎকার করে বলেন আজান দিতে। আজান দেয়ার পর নিজে নিজেই আবার নিচে নেমে এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
জ্ঞান ফেরার পর নাসির বলেন, ‘আমার সাথে ছয়টি নারী জ্বীন থাকে, চারটি আমাকে অনেক মারধর করে। এদের কথা না শুনলে ব্লেড দিয়ে আমার শরীর কেটে রক্ত খায়। আমাকে মেরে ফেলার জন্য কয়েকবার বিদ্যুতের টাওয়ারে তুলেছে। জ্বীনদের মধ্যে দুটি ভালো, তারা আজান দিতে বললে আজানের ধ্বনি শুনে চারজন চলে যায়। দুজন আমাকে নিরাপদে নামিয়ে দিয়ে যায়।’
নাসির আরও বলেন, ‘শুক্রবার আমি তিতাস উপজেলায় বেড়াতে এসেছিলাম। আমি গরুর মাংস খাওয়ার কারণে আমাকে মেরে ফেলার জন্য কারেন্টের টাওয়ারে উঠিয়েছে। পরে আজান দেওয়ার পর ভালো দুজন আমাকে নিচে নামিয়ে দিয়েছে। আমি সুস্থ আছি। এক সময় এরা আমার মায়ের সঙ্গে ছিল। আমার মাকে মেরে ফেলেছে। এরপর আমার ওপর সওয়ার হয়েছে।’
এ বিষয়ে নাসিরের বাবা বলেন, ‘তার (নাসির) ওপর জ্বীনের আছর আছে। ছোটবেলা থেকেই সে এ রোগে ভুগছে। জ্বীন চলে গেলে সে নিজে নিজেই চলে আসতে পারবে।’
এ বিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩-এর ডিজিএম আক্তার হোসেন বলেন, ‘নাসির যখন টাওয়ারের চূড়ায় ওঠেন, তখনো বিদ্যুৎ ছিল। খবর পেয়ে যোগাযোগ করি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি বাংলাদেশের সঙ্গে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন হোমনা ইউএনও তাপ্তি চাকমা। তার সুচিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তারদের।’
হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত আবাসিক চিকিৎসক মো. শহিদুল্লাহ বলেন, ‘ছেলেটির মানসিক সমস্যা থাকতে পারে। একজন সুস্থ মানুষ কখনই বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় ওঠবে না।’