প্রকাশ্যে এসেছে ভারতের সবথেকে বড় মধুচক্র। বেরিয়ে আসছে একের পর এক নেতার নাম। অন্তত ৪০ জন কল গার্ল যুক্ত ছিল এই মধুচক্রের সঙ্গে। যাদের অধিকাংশই বলিউড অভিনেত্রী।
৮ প্রাক্তন মন্ত্রী এবং ১২ জনের মতো শীর্ষ কর্মকর্তার নাম জড়িয়ে পড়েছে ওই মধুচক্রে। এই প্রাক্তন মন্ত্রীদের মধ্যে বিজেপি ও কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রীরা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আর মধুচক্রের উত্স মধ্যপ্রদেশ। মোবাইল ও কম্পিউটার থেকে পাওয়া প্রায় একহাজার সেক্স চ্যাটের ক্লিপ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ৯২টি হাই কোয়ালিটি ভিডিও পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ মহিলা যৌন কর্মী এবং কলেজের ছাত্রীদের দিয়ে ফাঁদে ফেলেছিলেন এইসব কর্মকর্তা ও প্রাক্তন মন্ত্রীদের। প্রায় ২০০ মোবাইল ফোন যোগাযোগ ঘেঁটে পুলিশের অনুমান এই চক্র মধ্যপ্রদেশের বাইরেও ছড়িয়ে। তদন্তের জন্য গঠিত সিটের প্রধান সঞ্জীব সামি জানিয়েছেন, ১০ জনের বেশি শীর্ষ আধিকারিককে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বুধবার ৫ মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে একজন রয়েছেন কংগ্রেসের আইটি সেলের নেতার স্ত্রী।
পুলিশ জানাচ্ছে, ধৃত এক মহিলা এনজিও-র নামে মধুচক্র চালাতেন। বিজেপি বিধায়ক ব্রিজেন্দ্র প্রতাপ সিংয়ের বাড়িতে ভাড়া নিয়ে এই চক্র চালাতেন বলে অভিযোগ।
পুলিশের দাবি, প্রত্যেক মহিলারই নিজস্ব গ্যাং রয়েছে। যেখানে কলেজ ছাত্রীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলা হত। রাজনৈতিক নেতা, আমলাদের কাছে তাঁদের পাঠিয়ে ভিডিয়ো ক্লিপ বানানো হয়। পরে ওই ভিডিয়ো ক্লিপ দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হত কাস্টোমারদের। এভাবেই চলছিল ওই চক্র।
সম্প্রতি ভিডিয়ো দেখিয়ে এক আইএস অফিসারকে ২ কোটি টাকা দাবি করা হয়। ইনদওরে এক পুরসভার অফিসারকে ৩ কোটি টাকা ব্ল্যাকমেল করা হয়। এরপরই থানায় এফআইআর করেন ওই আধিকারিক। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ওই মহিলাদের গ্রেফতার করা হয়। মধ্য প্রদেশের এই হানিট্রাপকে ভারতের সবচেয়ে বড় যৌন কেলেঙ্কারি বলে দাবি করছে পুলিশ।