Home > জাতীয় > সারাদেশ > বাবাকে ‘প্রথম’ বানাতে ইউপি চেয়ারম্যানের কাণ্ড

বাবাকে ‘প্রথম’ বানাতে ইউপি চেয়ারম্যানের কাণ্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাভেলের বিরুদ্ধে সাবেক চেয়ারম্যানদের অনার বোর্ড পরিবর্তন করার অভিযোগ ওঠেছে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের তালিকার ক্রমানুসার অনৈতিকভাবে পরিবর্তন করে তার বাবা হামিদুল হককে পঞ্চম থেকে প্রথম চেয়ারম্যান বানিয়ে একটি অনার বোর্ড লাগিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত খোরশেদুর রহমানের নাতি মোরশেদুর রহমান গত ১৮ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে এই লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন ওই ইউনিয়নের দক্ষিণ জগৎসার গ্রামের প্রয়াত খোরশেদুর রহমান। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুন্সি এলাকার প্রবীণদের কাছ থেকে ক্রমানুসার অনুযায়ী চেয়ারম্যানদের নামের তালিকা সংগ্রহ করে একটি রেজুলেশনের মাধ্যমে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে ২০০৩ সালের ৯ জুলাই একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করেন।

ওই তালিকায় ক্রমানুসারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত খোরশেদুর রহমান, প্রয়াত মীর মজিব আলী, প্রয়াত ফয়েজ আহম্মদ, প্রয়াত ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ, হামিদুল হক, হারুনুর রশিদ, মোশারফ হোসেন মুন্সি, শফিকুল ইসলাম মুন্সি ও মোশারফ হোসেন মুন্সি। এ ক্রমানুসারে তাদের নাম সংবলিত একটি অনার বোর্ড ইউনিয়ন পরিষদে টানানো হয়। কিন্তু বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাভেলের টানানো অনার বোর্ডে তার বাবা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল হকের নাম এক নম্বরে রেখেছেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাভেল যে অনার বোর্ডটি টানিয়েছেন সেটি বিতর্কিত। পূর্ববর্তী চেয়ারম্যানদের নাম সংবলিত অনার বোর্ড থাকার পরেও হিংসাবশবর্তী হয়ে তিনি এমনটি করেছেন। এছাড়াও বর্তমান চেয়ারম্যানের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খোরশেদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত ও অনির্বাচিত উল্লেখ করে নতুন প্রজন্মের কাছে প্রচার করছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলামিনুল হক পাভেল বলেন, আমার আগের ইউপি চেয়ারম্যান এ অনার বোর্ড টানিয়েছেন। নতুন বোর্ডে এক নম্বরে আমার বাবার নাম রয়েছে সত্য। কিন্তু সেটি আমার লাগানো না।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টির আমি খবর নেব। অভিযোগের বিষয়টি সত্য হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।