Home > জাতীয় > ক্যাসিনো থেকে হুইপের আ্য় ১৮০ কোটি টাকা, সেই পোস্ট দেয়া ইন্সপেক্টর বরখাস্ত

ক্যাসিনো থেকে হুইপের আ্য় ১৮০ কোটি টাকা, সেই পোস্ট দেয়া ইন্সপেক্টর বরখাস্ত

জুয়ার আসর থেকে গত পাঁচ বছরে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবের মহাসচিব, জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামশুল হক চৌধুরী ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন।ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে এমন দাবি করেছেন মাহমুদ সাইফুল আমিন নামের এক পুলিশ পরিদর্শক ।

পোস্টে হুইপ ছাড়া বিভিন্ন থানার ওসিদের অবৈধ ইনকামের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। সমালোচনা করেছেন রাশেদ খান মেননেরও।তিনি এক সময় হালিশহর থানা, চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের হাজতখানাসহ বিভিন্ন থানায় কর্মরত ছিলেন।

২০ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুকে ওয়ালে এই পোষ্ট দেবার পর তা বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর সেই পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহমুদ সাইফুল আমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শকের (এআইজি-পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-২) পক্ষে এআইজি (পিআইও-১) আনোয়ার হোসেন খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বরখাস্তের আদেশ দেয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বিভাগীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপ, জনসম্মুখে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন করা তথা অসদাচরণের দায়ে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ১২(১) মোতাবেক ঢাকার উত্তরা ১৩ এপিবিএনে কর্মরত সাইফুল আমিনকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং প্রচলিত বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন।

প্রসংগত, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন ক্লাবগুলোতে সরকার যে অভিযান চালাচ্ছে তার সমালোচনা করেছেন হুইপ শামশুল হক চৌধুরী । রোববার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত একটি সমন্বয় সভায় যোগ দিতে গিয়ে গণমাধ্যমের কাছে বিভিন্ন ক্লাবে চলমান অভিযানে ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি।

অভিযানের বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে শতদল, ফ্রেন্ডস, আবাহনী, মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধাসহ ১২টি ক্লাব আছে। ক্লাবগুলো প্রিমিয়ার লিগে খেলে। ওদের তো ধ্বংস করা যাবে না। ওদের খেলাধুলা বন্ধ করা যাবে না। প্রশাসন কি খেলোয়াড়দের পাঁচ টাকা বেতন দেয়? ওরা কীভাবে খেলে, টাকা কোন জায়গা থেকে আসে, সরকার কি ওদের টাকা দেয়? দেয় না। এই ক্লাবগুলো তো পরিচালনা করতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে শামশুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা সাংবাদিকেরা প্রেসক্লাবে বসে তাস খেলেন। এটা কি জুয়া হলো? জুয়া হলে তো আপনারা প্রেসক্লাবেও বসতে পারবেন না। তাস খেললেও জুয়া। তাস ধরলেই জুয়া। আর অভিযানে ক্যাসিনো বের করতে পারলে তাদের বাহবা দেয়া যেত।’ ঘুষের ব্যবসাও বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।

হুইপ বলেন, ‘ক্লাবের তাস খেলা বন্ধ করে কোনো লাভ হবে না। তাস খেলা বন্ধ করলে ছেলেরা রাস্তায় ছিনতাই করবে। এটা বন্ধ করে লাভ হবে না। এখানে কোনো ক্যাসিনো নেই। ক্যাসিনো ধরেন, তাস খেলা হয় এ রকম ক্লাব ধরবেন না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ক্যাসিনো এবং মদের ব্যবসা যারা করেন, তাদের ধরতে বলেছেন।’

ঘুষ কে খান—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি খান। আমি খাই। সবাই ঘুষ খান।’ ঘুষ কে দেন—জানতে চাইলে বলেন, ‘আপনি দেন। আমি দিই। সবাই দেন। তাদের ধরেন।